অনলাইন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বর্তমান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সকল নাগরিকের একটি শুদ্ধ ডাটাবেইজ প্রস্তুতকরণে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতোপূর্বে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কার্যক্রম জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পাদিত হতো। বিভিন্ন পর্যায়ে উক্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির পর গত ৩০ জুন, ২০১৬ তারিখে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। এবং ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখের পত্র নং-৪৬.০১৮.০২৮.০০.০০.০১৯.২০১৬-৫১৬ মূলে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় যা গত ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখের গেজেটে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সংখ্যা ১৬.৮০ কোটি (১০০%) এবং মৃত্যু নিবন্ধনের সংখ্যা ৯২.৫৪ লক্ষ্য । অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্ম নিবন্ধন ১.৩৯ কোটি এবং হার ৮৭.৯১%। গত ১৫ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ০৬ অক্টোবর জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস ঘোষনা করা হয়েছে।
দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশী মিশনসমূহের জন্য আলাদা আলাদা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা থাকায় তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়ায় পূর্বের ৫টি বিধিমালা একীভূত করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পদ্ধতি আরও সহজিকরণের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে প্রণীত বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ জারী করা হয়। যা ০৮ মার্চ ২০১৮ তারিখে সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়।
বর্তমানে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এর ২৫টি জনবলরে টিওএন্ডই অনুমোদন রয়েছে। আরও ১৭ টি জনবল টিওন্ডইতে অন্তর্ভূক্তির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে।
ক) Online Birth & Death Registration Information System (BRIS) এর সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ;
খ) দ্বৈত নিবন্ধন বাতিক্রমে ডাটাবেজ শুদ্ধিকরণ;
গ) ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি;
ঘ) মৃত্যু নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি
ঙ) অনলাইন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে ১০ ডিজিট ইউনিক আইডির ব্যবস্থা প্রবর্তন;
চ) বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার সাথে BRIS এর Interoperable করণ;
ছ) জন্ম তারিখ সংশোধনের অস্বাভাবিক প্রবণতা হ্রাস করণ;
জ) প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব দূরীকরণ;
ক) BRIS সফটওয়্যার উন্নয়ন;
খ) জনবল নিয়োগ ও বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ;
গ) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ;
ঘ) জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ;
ঙ) বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার সাথে MoU স্বাক্ষরের মাধ্যমে Interoperable করণ;
চ) জন্ম নিবন্ধননের Duplication রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ;
২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহ
ক) বিভিন্ন সংস্থার সাথে Interoperable সম্পন্নকরণ;
খ) জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের সংখ্যা বৃদ্ধি;
গ) মৃত্যু নিবন্ধনের সংখ্যা বৃদ্ধি;